প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ১০:০৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২২, ২০২৫, ৯:২২ এ.এম
নরসিংদীর মাধবদী থানা কুরেরপাড় গ্ৰামে চাঁদার টাকা না পাওয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুর
মোঃ তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি নরসিংদী।
মেহেড়পাড়া ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের কুঁড়ের পাড় গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়ার বাড়িতে গত ১৯/৩/২৫ রাত ৮টার দিকে হামলা ও ভাংচুর চালায় একই এলার কথিত সন্ত্রাসী ঘোয়াইল্লা আনোয়ার ও তার ছেলে নয়ন সহ আর ৬/৭ জন। ভুক্তভোগী সেলিম মিয়া জানান আমার তিন ছেলে প্রবাসে থাকে আমি পৌলানপুর মৌজাস্তে ইয়াসমিন বেগমের কাছ থেকে ০৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি। তখন থেকেই ঘোয়াইল্লা আনোয়ার ও তার ছেলে নয়নআমাদের নানান ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসতো। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারতাম না। যখন আমি আমার ক্রয়কৃত জমিতে দেয়ালের কাজ ধরি সেই মুহূর্তে ঘোয়াইল্লা আনোয়ার ও তার ছেলে নয়ন প্রথম দফায় পঞ্চাস হাজার ও দ্বিতীয় দফায় এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি বলি আমার জমিতে আমি কাজ করি আপনাদের কিসের টাকা দেবো। ঘোয়াইল্লা আনোয়ার ও তার ছেলে নয়নআমাকে বলে তোর জমিতে কাজ করতে হলে আমাদেরকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। আমি টাকা না দেওয়ায় তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় আমি ঘটনাস্হল হতে বাড়িতে চলে আসি। তারা ১৯/৩/২৫ রাত ৮টার দিকে সন্রাসীকর্মকান্ড চালায়। আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। ঘোয়াইল্লা আনোয়ার ও তার ছেলে নয়নহুমকি দিয়ে গেছে যদি থানায় মামলা করি তাহলে জানে মেরে ফেলবে। উক্ত ঘটনায় আমার স্ত্রী বেবি বেগম বাদী হয়ে মাধবদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।ভুক্তভোগী সেলিম মিয়া প্রশাসনের উদেশ্যে বলেন সাধারণ মানুষ এখন রাস্তা ঘাটে ঠিক মতো চলাফেরা করতে পারছেনা। শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়ন ও তার বাবা ঘোয়াইল্লা আনোয়ার মোস্তফা মেম্বার হত্যা মামলার আসামি। গোয়াইল্লা আনোয়ার এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহীনি এলাকায় চাঁদাবাজি করে। টাকা খেয়ে অন্যায় ভাবে মানুষের জমি দখল করে। চাঁদা না দিলে বা কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাদের কে রাস্তা ঘাটে মারধর করে এবং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা চালায় এবং লুটপাট করে।
সন্ত্রাস নয়ন ও তার বাবা ঘোয়াইল্লা আনোয়ার জেল থেকে জামিনে বের হওয়া হত্যা মামলার আসামি গোয়াইল্লা আনোয়ার গিরগিটির মতন রং বদল করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগের দালালি করতো এখন বিএনপির দালালি করে। তারা নেতাদের সেল্টার নিয়ে এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ করে থাকে।
তারা বাবা ছেলে একাধিক মামলার আসামি।নয়ন ঘরে বউ রেখে পরনারীদের সাথে অশ্লীল কার্যক্রম করে থাকে এবং পরকীয়া করতে গিয়ে কয়েকবার জনগণের হাতে গণধোলাই ও খেয়েছে।
এদের মতন সন্ত্রাসদেরকে কোন বৈধ ও ভালো রাজনৈতিক দল কখনো প্রশ্রয় দিতে পারেনা।আইন প্রশাসন পুলিশ ও সেনাবাহিনীদেরকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অতশত FC প্রমাণ থাকতেও তারা কিভাবে বাইরে ঘুরাফেরা করছে তবে কী আইন প্রশাসন সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার দিতে ব্যর্থ।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত