প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ৪:১০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ৬, ২০২৫, ৪:১৬ পি.এম
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য দেখতে সুন্দর বনের পাশের রিসোর্ট গুলোতে মানুষের ঢল
মোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টার
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন দাকোপের অনেক মানুষ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ শেষ করে অনেকেই পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু বান্ধবকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোথায় ঘুরবে এমন জায়গা বেছে নেওয়া মুশকিল। তাই একটু বিনোদনের জায়গা হিসাবে সুন্দরবন সংলগ্ন রিসোর্ট গুলোতে মানুষের পদচারনায় ছিল মুখরিত।একটু হিমেল বাতাস খেতে আর নদীর পাড় থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে সুন্দর বনের কোল ঘেষে গড়ে উঠা এসব রিসোর্টে হাজির হয় শত শত মানুষ। মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। এ অঞ্চলের মানুষের ধারনা ইতোপূর্বে কখনো এই এলাকায় এত মানুষ তারা দেখেনি। শুধু দাকোপের মানুষ নয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে এখানে ছুটে এসেছে নদী পথে ভ্রমনের পাশাপাশি সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে এবার প্রস্তুতি ছিল সুন্দরবন। খুলনার দাকোপ উপজেলা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের অন্যতম পর্যটন স্পট হলো। খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ঢাংমাড়ি ও বুড়িরডাবুর গ্রামে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ইকো রিসোর্ট। ঢাংমাড়ি গ্রামে বয়ে যাওয়া চাংমারি খালের পাশে বাঁশ-কাঠের এসব রিসোর্টের মধ্যে আছে গোল কানন, ইরাবতী, বনবিবি, বনলতা, বনবাস, সুন্দরী, পিয়ালি, জঙ্গলবাড়ি, ছায়ালতা, মনমালি, ফরেস্ট রিট্রেট এবং ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন নামে ১২টি রিসোর্ট। এ ছাড়া ম্যানগ্রোভ ভেলি নামে একটি রিসোর্টের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এলাকাবাসী বলেন, খুলনা জেলা শহর থেকে এসে মোংলা ও দাকোপ থেকে খুব কম সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করা যায়। সরেজমিনে গত শনিবার সুন্দরবন সংলগ্ন দাকোপের এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরে গড়ে ওঠা এসকল রিসোর্ট ঈদকে সামনে রেখে সাজসজ্জায় রেখেছে ভরপুর। ইকো রিসোর্টের সভাপতি ইমন শেখ বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা রিসোর্ট পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে পেরেছি। যাতে পর্যটকরা এসে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে আসতে পারে। এ বছর প্রচুর বেচাকেনা হয়েছে। অন্য বারের তুলনায় এবার সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটক এসেছে অনেক বেশি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত