বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার জামান স্যার,
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫
-
৩০
বার পড়া হয়েছে

মো লুৎফুর রহমান রাকিব স্টাফ রিপোর্টার
রাজনীতি করবেননা স্যার,ভীলেনের সর্বোচ্চ স্থানে নিক্ষিপ্ত হবেননা।অমনিতেই আপনার অনেককিছুই জানা হয়ে গেছে এইদেশের ৫ বছরের শিশুটিরও।এদেশের মানুষ মারাত্মকভাবে রাজনৈতিক সচেতন।এটা পাকিস্তান নয় স্যার।আমি অনেকদিন পাকিস্তান ছিলাম। আমি দেখেছি পাকিস্তানের মানুষ দৈহিকভাবে শক্তিশালী কিন্তু রাজনীতির ক্ষেত্রে একেবারেই সহজ-সরল।পাকিস্তানের ৮০℅ ভাগ মানুষই রাজনীতি করেনা,বুঝেওনা।একারণেই সেদেশে সেনাবাহিনীর লোক বারবার ক্যূ করে থাকে।অবশ্য একারণে আমরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সমালোচনা করলেও বাস্তবতা হলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় প্রত্যেকটা ক্যূ হয় যৌক্তিকতার কারণেই।সেদেশের সেনাবাহিনীরা হলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ দেশপ্রেমিক।তাই কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন দল তিনটি বিষয়ে যেমন,দেশের জনগণের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে,নিরীহ কাশ্মীরের জনগণের বিরুদ্ধে গেলে অথবা ভারতের প্রতি বিন্দুমাত্র প্রেম দেখালেই তাকে ক্ষমতাচ্যুৎ হতে হয় সেনাবাহিনীর কল্যাণে।এই তিনটা পয়েন্ট কেবল সেনাবাহিনীর নয়,পাকিস্তানের সব জনগণেরও চাওয়া।তাই রাজনৈতিক দলগুলার চেয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিই পাকিস্তানের জনগণের আস্থা দীর্ঘদিনের এবং তা এখনো।
অপরদিকে আমাদের সেনাবাহিনী কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষাবলম্বন এবং এরশাদের আমল থেকেই ভারতের বিশ্বস্ত দালাল হয়ে থাকে?আফসোস!এখানেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী আর আমাদের গত তিন দশকের সেনাবাহিনীর মধ্যে পার্থক্যটা স্পষ্ট।তাই এদেশের রাজনীতি নিয়ে সহজেই চিনিমিনি খেলে থাকে ভারত।
যাক,বলছিলাম ক্যূ নিয়ে।ওই যে আপনার পাশের ছবির ছেলেটাকে দেখছেন,হাসনাত আব্দুল্যাহ;কতোটা জানেন তাকে?কুমিল্লার ছেলে।শিশু থেকেই মেধাবী।কপাল দেখেছেন কপাল!কালো দাগ দেখছেন তো,হা হা হা!এই বয়েসে অনেক বড় বড় আলেমদের নশীবেও জুটেনা এই দাগ।মেধা,সততার ও চরিত্রের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।গোটা ভারত,হাসিনার চৌদ্দগোষ্ঠী এবং আপনার মতো সেনাবাহিনীর গোটা কতক অফিসারদের চেয়েও এই ওয়ান পিস হাসনাত আব্দুল্যাকে এই মুহূর্তের বাংলাদেশের মানুষ অধিক কদরদান মনে করে স্যার;রাগ হবেননা,এটাই সত্যি।ক্যূ-মু এদেশে আর এখন খাটেনা স্যার,এদেশের মানুষ রাজনৈতিক সচেতন।ভারতপ্রেম আর ফ্যাসিস্ট হাসিনা প্রেমের কবর রচনার নামই হলো আজকের বাংলাদেশ প্রেম।এই ছেলেরা এক একটা বারুদ।জন্মের পর থেকেই একটু বুঝ হতেই আওয়ামীলীগের অপশাসন আর ভারতের বাংলাদেশ নিয়ে বদমাশি করতে দেখে দেখেই এরা অবাক বিস্ময়ে বড় হয়েছে।এরা কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছে ছাত্রলীগের চরিত্র।এদের দিলে ভারত আর হাসিনা ঠাঁই নেবেনা কোনোদিন।স্যার,কতজনকে মেরে চাইবেন আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে?এতো অস্ত্র বাংলাদেশে আছে কি স্যার?একটি কথা শুনুন,কানে কানে বলি?মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬ কোটির অধিক,সংখ্যাটা কিন্তু কোনো কোনো দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়ে ও বেশী!কাজেই কোনো নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হলে এদের জীবদ্দশায় সম্ভব নয়।৫ আগষ্ট ও আপনি হিরো ছিলেননা বলেই এখন মনে করছে সবাই।হাসিনাকে রাখা মানে গোটা দেশের মানুষের বিপক্ষে চলে যাওয়া ভেবেই নিরুপায় হয়ে আপনার বুবুকে পালানোর তাগিদ দিয়েছেন বলেই সবাই জানে স্যার।অতএব স্যার,যা কিছুই করেন,সইবে;ভারত ও আওয়ামীলীগ নিয়ে মাথা ঘামাবেন,সেটা সইবেনা আজকের বাংলাদেশ।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন