লালমাইয়ে হিফজ শিক্ষার্থীর মাকে ‘খেলা হবে’ হুমকি: পরিচালকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
-
৯
বার পড়া হয়েছে

মো লুৎফুর রহমান রাকিব স্টাফ রিপোর্টার
আবদুল্লাহ নামের এক হিফজ শিক্ষার্থীর মাকে ‘খেলা হবে’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুরস্থ দারুত তাহযিব মাদরাসার পরিচালক ও বাগমারা উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে লালমাই থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং ৮৮৮/২৫, তাং ২৩/০৪/২৫ইং) করেছেন।জিডিতে তানিয়া আক্তার উল্লেখ করেন, এক বছর আগে তার ছেলে আবদুল্লাহকে বাগমারা দারুত তাহযিব বালক মাদরাসায় হিফজ বিভাগের আবাসিকে ভর্তি করেন। মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম ভর্তির সময় মাদরাসার লেখাপড়ার বিষয়ে অনেক সুনাম করলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। কোন শিক্ষক দুই তিন মাসের বেশি এই মাদরাসায় থাকে না। বেশিরভাগ সময় শিক্ষক সংকটের কারনে পাঠদান বন্ধ থাকে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের মানও নিম্ন। এছাড়া মাদরাসাটিতে একাধিকবার শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সেই কারনে তিনি গত ইদুল ফিতরের পর থেকে তাহার ছেলেকে এই মাদরাসা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম তাহার ছেলেকে অন্য মাদরাসায় নিতে ছাড়পত্র দিতে চাচ্ছিলো না। গত ২০ এপ্রিল (রবিবার) বিকেলে তিনি ছেলেকে নিয়ে মাদরাসার অফিসে যান। ছেলের বেডিংপত্র নিয়ে আসতে ও শিক্ষকদের থেকে বিদায় নিতে চাইলে মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং মাদরাসার ম্যানেজার তাজুল ইসলাম তাহার ছেলের অনুপস্থিতির সময়ের কয়েকমাসের বেতন বাবদ অতিরিক্ত টাকা দাবী করেন। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা ছাত্রের মাকে গালিগালাজ করে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়।গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে তানিয়া আক্তার মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইলে (০১৬১৯-৪১৭২৭৭) কল করে পরিচয় দিলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে অন্য মাদরাসায় নেওয়ার সুযোগ নেই। তার বেডিংপত্র কিভাবে নিবেন। আমার বাড়ি বাগমারা। আমার সাথে পাঙ্গা নিয়েন না। কিভাবে টাকা আদায় করতে হয় আমি জানি। একপর্যায়ে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, আগামীকাল (২৩ এপ্রিল) মাদরাসায় আসেন। আপনার সাথে খেলা হবে। কিভাবে আপনি বেডিংপত্র নেন দেখে নিবো।বাগমারা দারুত তাহযিব মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি হুমকি দিইনি। বরং ওই ছাত্রের মা আমাকে হুমকি দিয়েছেন। থানায় জিডি করার পর ওসি স্যার বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। ছাত্রের মায়ের কাছে বেডিংপত্র বুঝিয়ে দিছি।লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, দারুত তাহযিব মাদরাসার আবাসিক ছাত্র আবদুল্লাহ অন্য মাদরাসায় যেতে চাইলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বেতন বকেয়ার অজুহাতে তার বেডিংপত্র আটকে রাখে। এনিয়ে মাদরাসার পরিচালকের বিরুদ্ধে মোবাইলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে থানায় জিডি করেন ওই ছাত্রের মা। পরবর্তীতে পুলিশের হন্তক্ষেপে ওই ছাত্রের বেডিংপত্র পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন