পীরগাছা উপজেলা ইটাকুমারি ইউনিয়নে জমিদার বাড়ির সামনে তিন দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছেন
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
-
১২
বার পড়া হয়েছে

শাহ মোঃ জাহিদ হোসেন ( রংপুর জেলা প্রতিনিধি)
রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারি ইউনিয়নে অবস্থিত ততকালীন রাজা শিব চন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি। ইটাকুমারির সৃতিবিজরিত যুগ যুগান্তরের ঐতিহাসিক নিদর্শন এই জমিদার বাড়িটি। আজ সেটা ধ্বংস স্তুপ হয়ে পুরনো জরাজীর্ণ ইটের দেয়াল হয়ে দাড়িয়ে আছে।আজ এই ঐতিহাসিক জমিদার বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র তৈরী সহ মোট তিন দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছেন পীরগাছা উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ ও পীরগাছা উপজেলা সর্বোত্তম সংগ্রাম পরিষদ তাদের নেত্রীত্বে যৌথভাবে মানববন্ধন করেছেন।তিন দফা দাবির মধ্যে প্রথম দাবি হচ্ছে ঃ-
১/ ইটাকুমারি ইউনিয়নে ১০০০ ( এক হাজার) শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করতে হবে।
২/ ইটাকুমারী ইউনিয়নে প্রায় তিন থেকে চারশত অসহায় আদিবাসীর বাস। তাদের তেমন কোন মাথা গোজার ঠাই নাই। তাদেরকে পুন বাসন করতে হবে।
৩/ ইটাকুমারি ইউনিয়নে অবস্থিত জমিদার বাড়িটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করতে হবে।পীরগাছা উপজেলা সর্বোত্তম সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।পীরগাছা উপজেলা সর্বোত্তম সংগ্রাম পরিষদের নেত্রীত্ব দেন জনাব মোঃ খায়রুল ইসলাম। এই মানববন্ধনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ফজলুল হক সদস্য গণ অধিকার পরিষদ রংপুর জেলা শাখা। জনাব মোঃ কাওসার আলম সাগর সভাপতি গণ অধিকার পরিষদ পারুল ইউনিয়ন শাখা। জনাব আবু শাহ্ মা সদস্য সচিব খেলাফত মজলিস পীরগাছা উপজেলা শাখা। জনাব রনি সিনিয়র সদস্য সচিব গণ অধিকার পরিষদ পীরগাছা উপজেলা শাখা আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম আহবায়ক গণ অধিকার পরিষদ তাম্বুলপুর ইউনিয়ন শাখা।বক্তৃতারা বলেন এই ইউনিয়নটি হচ্ছে ইতিহাসের সৃতিবিজরিত । তাদের এই দাবি গুলো যৌক্তিক ও প্রাপ্য। রাজা শিব চন্দ্র রায়ের সৃতিকে অবক্ষয় করে রাখার জন্য তাদের দাবি।এই ইউনিয়নের আদিবাসী লোকজন গুলো অনেক কষ্টে দিন যাপন করতেছে। তাদের মাথা গোজার মত ভালো ঠাই নাই। তাদেরকে পুনবাসন করতে হবে তাদের মাথা গোজার মত ঠাই করে দিতে হবে।এই ইউনিয়নের লোকজনের স্বাস্থ্যসেবা নেওয়া মত তেমন কোন ব্যবস্হা নাই তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে হলে এই ইউনিয়ন হতে ৬/৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পীরগাছা উপজেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে সেবা নিতে হয়। তাই তাদের দাবি এই ইটাকুমারী ইউনিয়নে ১০০০( এক) হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করতে হবে।তাহলে তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে এত দুরে যেতে হবে না।বক্তৃতারা এই তিন দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছেন এবং সরকারের সুদৃষ্টি রাখা ও দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন